শুভঙ্কর,
ওই যে তোমাকে এক মেয়ের কথা বলেছিলেম না!
তাকে আমি চিঠি দিয়েছিলেম, মনে পড়ছে?
চিঠিতে তার ভরা যৌবনের কথা লিখেছিলেম তাকে,
তিনি এক ফোটাও রাগ করেন নি। শুধু হেসেছিলেন।
প্রতিউত্তরে অনধিকার চর্চার একচুমু চেয়েছিলেম,
তিনি বলেছিলেন যেন সময় করে নিয়ে যাই, যদি একা পাই!
মনে পড়ছে শুভঙ্কর?
হ্যা, ওই মেয়েটাই শুভঙ্কর! ওই মেয়েটাই।
সেদিনের সেই এলোমেলো মেয়েটি আজ বড্ড বেশি গোছানো গো, শুভঙ্কর!
সেই মেয়েটা আজ প্রচন্ড বড় হয়েছে গো, বুঝতে শিখেছে প্রচুর।
তিনি এখন অনধিকার চর্চার প্রশ্রয় দেন না একদম।
তিনি এখন বদলে গেছেন শুভঙ্কর,
প্রচন্ড বদলে গেছেন,
যে বদলে যাওয়াতে নষ্টদের ঠাঁই নেই, একদমই নেই।
আমি অনধিকার চর্চার অধিকারের কথা তুলতেই তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
হেটে চলে গেলেন দূর-বহুদূর। দিগন্তের ওপার।
শুভঙ্কর!
আমার মতো তুমিও নষ্ট, জানো তো?
আমরা বদলাইনি, ওরা বদলেছে, প্রচুর বদলেছে।
অনধিকার চর্চা ভুলে যাও, আবেগ ভুলে যাও,
কবিতা ভুলে যাও, গল্প ভুলে যাও, উপন্যাস ভুলে যাও,
লিখতে ভুলে যাও, গাইতে ভুলে যাও, আবৃত্তি ভুলে যাও।
ফের কোনদিন নষ্ট থেকে নব্য সৃষ্টির সৃষ্টি হবে না।
-আ.ব.স. রাজ।
রাত ১০টা ৪৩ মিনিট।
বুধবার | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮।