সোমবার, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪

কে তুমি ?

কে তুমি ?

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
আমি জানি,,
তুমি আমার স্বপ্নের রানী ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যে আমার সমস্ত ভালোবাসার অধিকারীনী ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যার জন্যে যে কোনও কিছুই- ত্যাগ করতে পারি আমি ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যাকে নিয়ে লেখা আমার সমস্ত কবিতাগুলি ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যাকে দেখে বারবারই মুগ্ধ হই আমি ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যাকে নিজেরই অজান্তে অনেক ভালোবেসেছি আমি ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যার ছবি আমার এ মনে একে ফেলেছি আমি ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যাকে ব্যকুল ভাবে চেয়েছি আমি ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যার জন্যে এক বুক ভালোবাসা বেধেছি আমি ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যাকে নিয়ে এ বুকে স্বপ্নের জাল বুনেছি আমি ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যাকে নিয়ে সারাক্ষণ কল্পনায় ডুবে থাকি আমি ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যার জন্যে মনে জাগে অজানা এক অনূভুতি ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যে কখনও আমার ভালোবাসাকে বোঝ নি ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যাকে ভুলতে গিয়েও ভুলতে পারিনি আমি ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যাকে না পেয়ে কষ্ট আজ আমার জীবনসঙ্গী ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যে আমায় দিয়েছ অজস্র নির্ঘুম রজনী ।।

তুমি কি জানো ? কে তুমি ?
তুমি সেই,,
যার জন্যে সুখের পথ হারিয়ে ফেলেছি আমি ।।

তুমি কি জানো ?
জানো কি তুমি ?
আমি কে.....??

আমি তোমারই মাঝে হারিয়ে যাওয়া
সেই  পথ হারা পথিক  ।।।।




#_পথ_হারা_পথিক_

রবিবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪

না বলা প্রেম

শীতল: কেমন আছিস.....??
কবি : জানি না..

: জানি না মানে....!!
: জানি না মানে i don't know .....

তখনই শীতল কবি কে বালিস দিয়ে মারলো...
খুব ভালো বন্ধু দু জনে,
দুই cousin,,
ছোট বেলা থেকেই অনেক ক্লোজ ওরা....
যে কোন বিষয়ই নিজেদের মধ্যে শেয়ার
করে নেয়.....

প্রায় সারে চার বছর হলো কবি শীতল
কে ভালোবাসে, পাগোলের মতো ....
কিন্তু আজও বলতে পারে নি....

ঠিক পারে নি না, বলে নি....
কারন শীতলকে বলার পরে শীতল
আস্তে আস্তে ওকে ভালোবাসতে শুরু করবে,,
কিন্তু কবি জানে ওদের সম্পর্ক টা তখন কেউই
মেনে নেবে না......

আর ঠিক তখন আবার শীতল কষ্ট পাবে কবি র
জন্যে......

ভালবাসার এক তাড়নায় তাড়িত হবে সারাক্ষণ....!!

তাই শীতলের সুখের জন্যে সমস্ত কষ্ট শীতলের
থেকে আড়ালে রেখে নিজের মাঝে আজও
লুকিয়ে রেখেছে কবি....
লুকিয়ে রেখেছে মনের মাঝে এক বুক
ভালোবাসা আর না পাওয়ার বেদনা,,
আর মেনে নিয়েছে নিজের নির্মম নিয়তি,,
নিজের জীবনটাকেই যেন কারো জন্যে ত্যাগ করেছে,,
হয়তো শীতলের জন্যেই.....!!
হয়তো ভালোবাসার জন্যেই.......!!

সত্যিকারের ভালোবাসা হয়তো এমনই হয়.........



লেখা :
#_পথ_হারা_পথিক_

ভালোবাসার কান্না

: কতটা ভালোবাসিস আমাকে.....??
: জানি নাহ....

: আজকে তোকে বলতেই হবে....
: বলবো....??

: হ্যা,, বল....!!!!!

কবি নীলার খুব কাছে এগিয়ে গেল,,
নীলার নিষ্পলক দুই চোখের দিকে চেয়ে আছে ও,,
কবি দু হাতে নীলার মাথাটা আলতো করে চেপে ধরলো.....
মৃদু কাপছে নীলা,,
চোখ দুটি বন্ধ করে নিল ও,,,,
কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল ও,,
কপালে কবির ঠোটের পরশে সম্ভিত ফিরে পেল নীলা,,
ধীরে ধীরে চোখ খুললো ও....

নীলা : আমি জানতাম.....
কবি : কি জানতি তুই....!!

: জানি নাহ.....

কবি কে জড়িয়ে ধরলো নীলা,,

নীলা : কেন ভালোবাসিস এত....?
কবি : জানি নাহ....

কাঁদছে নীলা....
কবি র চোখ থেকেও এক ফোটা অশ্রু
গড়িয়ে পড়লো শীতলের কাধে..........
এ কান্নার মাঝে যেন এক অজানা রহস্য লুকানো,,
কখনো বোঝা যায় নি এ কান্না সুখের না দুঃখের,,

হয়তো এ কান্না ভালোবাসার কান্না.......!!



লেখা :
#_পথ_হারা_পথিক_

একাকীত্ব


যখন থাকি একাকী,
তখন তোমার কথা মনে পড়ে খুবই ।

তুমি যে আমার-
জীবন সমুদ্রের সেই জলপরী,
তোমায় কি আমি-
কোনওদিনও ভুলতে পারি…!!

তুমি যে আমায় ভুলে যেতে পার,
তবে তুমি যে আমারই মাঝে বিরাজ কর ।

তুমি যে আমার কল্পনায় ছিলে,
বাস্তবে আসোনি ।
একাকীত্ব এখন আমার এ জীবনের-
পরম সঙ্গী ।।

আমি তো কোনদিন কাউকে প্রতারিত করিনি,
তবে কেন বার বার হয়-
আমার সাথে এমনই.…

তুমি যে আমার জীবনের সেই ছলনাময়ী,
তবু তোমায় যে ভুলতে পারবনা কোনদিনই ।

একাকিত্ব আজ বড় আপন আমার-
আমি বড় 'একাকী' ।
যে কোনদিনও ভুল বুঝে আমায়-
দূরে ঠেলে দেয় নি ।
যার কোলে মাথে গুঁজে আজ-
একটু ঠাই নিয়েছি ।

একাকিত্ব আজ বড়ই আপন আমার-
আমি বড় একাকি,
যে কোনদিনও একা ফেলে আমায়-
দূরে চলে যায় নি.....



#_পথ_হারা_পথিক_

ডায়েরী

date: ____/__/__
"" অনেক দিন পর দেখা হলো । প্রায় ৭ মাস । কেমন যেন কষ্ট হচ্ছিলো তোকে দেখে তখন । নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না । হয়তো বুঝতে পারিস নি, তাই না শীতল....??
অনেক কষ্ট করে নিজেকে সামলে রেখেছি । কেদে ফেলি নি তোর সামনে,,
পরে এসে চোখের জল আটকে রাখতে পারি নি,,
তবে তা কেউ দেখে নি,, শীতল....!!
তোকেই তো ভালোবেসেছি, বাসি আর বাসবো,,
কিন্তু জানি তো তুই আমার জন্যে নয়,,
তবুও,,
পাবো না বলেই আর তোকে বলি নি,,
জড়াই নি তোকে আমার এই তুচ্ছ জীবনে,,
দূরে থাকতে চেয়েছি,, এখনো চাই,,
তবে কেন তুই এভাবে বারবার আমার কাছে আসিস....??


date: ____/__/__
আজকে যখন তুই মেহেদী নিয়ে এসেছিলি,,
তোর হাতে লাগিয়ে দেয়ার জন্য,,
তখন খুব কষ্ট হচ্ছিলো,,,,
তোর হাত টা ধরতেই পুরো শরীরে এক অজানা শিহরণ
বয়ে গেলো,,
সারা জীবন তোর হাতটা ধরে রাখতে ইচ্ছে করছিল ।
কিন্তু জানি,,
শীতলের হাত কবি র জন্য নয়,,
কোন দিনও ছিলো না,,
আর হবেও না.....!!


..............
..................
.........
....


date: ____/__/__
প্রায় পাঁচ মাস,,
তোর সাথে যোগাযোগ নেই,,
শীতল, তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে ।।

date: ____/__/__
তোকে কবে থেকে ভালোবেসে ফেলেছি,,
আমি নিজেই জানি না,,
তবে হয়তো অনেক ভালোবেসে ফেলেছি,,
দিন দিন তোর প্রতি দূর্বলতা বেড়েই চলেছে ।।
মনের মাঝে সারাক্ষণ তোর কথা ঘুরপাক খায়,,
প্রতি মুহূর্তে তোকে অনুভব করি,,
.................
........
..........


date: ____/__/__
ইদানিং কেমন যেন মনে হচ্ছে মারা যাবো,,
শুধু তোকে দেখতে ইচ্ছে করছে,,
কষ্ট হচ্ছে খুব,,
মন চাইছে চিৎকার করে বলে দিই,,
শীতল,
আমি তোকে ভালোবাসি,,
কতটা ভালোবাসি তা বলতে পারবো না,,
হয়তো অনেকটাই,,

date: ____/__/__
মৃত্যুর চিন্তা টা মাথায় যেন চিরতরে ঢুকে গেছে,
কষ্ট লাগছে,,
মনে হচ্ছে মৃত্যু যেন খুব কাছেই আমার ।
আব্বুকে বলতে শুনেছি যে মানুষ নাকি তার মৃত্যুর
আগে বুঝতে পারে,,
আমিও ঠিক তেমনই বুঝতে পারছি,,
দুঃখ একটাই,,
তোকে আর এ দু চোখ দিয়ে দেখতে পাবো না,,
দুষ্টামি করে তুই আর আমার মাথার
চুলগুলো এলোমেলো করে দিবি না,,
তোর রাগের উষ্ণ ঠোঁট আর দেখতে পাবো না,,
তোর লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া মুখটা আর দেখা হবে না,,
জানি না,,
কেন বারবার এমন মনে হচ্ছে,,
সব কিছু কেমন যেন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে,,

date: ____/__/__
কেন জানি না, মনে হচ্ছে কে যেন বারবার কানের
কাছে বলছে যে তোমার সময় শেষ, চলো আমার সাথে ।।
জানি না,
সত্যিই চলে যাবো কিনা সেই অজানা অসীমের পথে,,
তবে তার আগে তোকে একবার দেখার ইচ্ছে ছিলো,,
জানি না,
তা পূরন হবে কি না,,
তবে সত্যিই যদি চলে যাই তবে আমি তোরই চারিপাশের
প্রকৃতিতে মিশে থাকবো,,

যখন ঝড়ো হাওয়া হবে তখন তুই জানালার
ধারে গিয়ে দাড়াস,,
আমি হাওয়া হয়ে তোর খোলা চুল
গুলোকে ভাসিয়ে বেড়াবো.....
পূর্ণিমার জোছনা হয়ে তোর গায়ে মাখবো,,
ভোরের আকাশের শুকতারা,,
আর সন্ধ্যা আকাশের সন্ধ্যা তারা হয়ে তোকে মন
ভরে দেখবো......
শুধু তোকেই ভালোবাসবো,,
শীতল,
শুধু তোকেই ভালোবাসবো......""
...............
..................



চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে এলো শীতলের,,
কবি-র লেখা ডায়েরী টা কে বন্ধ করলো শীতল,,,
দু দিন আগে রোড একসিডেন্টে মারা গেছে কবি,,
ওর টেবিলের উপরে ডায়েরি টা পেয়েছে কবি-র রিলেটিভ শীতল,,

অনেক বার দেখেছে ওই ডায়েরী,,
পড়তেও চেয়েছিলো....
কিন্তু কবি দেয় নি,,
হয়তো এটাই অদৃষ্টের পরিহাস........


এর পর থেকে শীতল কে প্রতিদিন সন্ধ্যায় বেলকনির
চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায় ।
আকাশের দিকে মুখ করে তাকিয়ে থাকে,,
সন্ধ্যাতারাটির দিকে চেয়ে থাকে,,
অপলক দৃষ্টি নিয়ে,,
আর লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদে, কেননা কবি যদি দেখে ফেলে তো কষ্ট পাবে,, তাই......




লেখা:
#_পথ_হারা_পথিক_

শনিবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৪

মৃত্যুঞ্জয়ী প্রেম

: কবি.....!!
এই কবি.....!!
: ও হ্যা.. বল....

: আচ্ছা, তুই কই হারায় যাস বল তো....!!
কখন থেকে ডাকতেছি.....!!
স্যার আসছে ক্লাসে,, দেখিস নাই...?
: নাহ,,

ক্লাস শেষ হয়ে গেলে নিজের অজান্তে চোখটা জানালায়
চলে যায় কবি র ,, কোন এক জোড়া মায়াবী চোখ
খুজে বেড়ায়,, সেই দুই পরিচিত চোখ,, শুধু একটা বার দেখার আশায়.....

প্রায় একটা বছর,,,
লুকিয়ে দেখে যায় কবি নীলাকে,,
কলেজ শেষে গেটে গিয়ে দাড়িয়ে থাকে,,
কালো রঙ্গা বোরকা থেকে সেই মায়াবী দুচোখের অপলক চাউনি টা দেখার জন্য,,,,
একাকী দেখে,,
আর মনের গহীনে নির্ভুল জলরঙে সেই মানুষের
ছবি একে যায়,,,,,,
কবি বুঝতেই পারে না, কখন নীলা ওর মনের মাঝের
এতটা জায়গা কেড়ে নিয়েছে,,,,

কিছু দিন পর,,
কবিকে প্রায়ই অন্যমনষ্ক অবস্থায় দেখা যায়,,
কোন স্যারের লেকচার ওর মাথায় ঢোকে না,,,
পড়ায় মন বসে না,,,,
ক্লাস শেষ হওয়ার আগেই গেটে গিয়ে দাড়িয়ে থাকে,,,

প্রায় এক সপ্তাহ নীলার দেখা মেলে না কবি র,
সব কিছু কেমন যেন ফাকা ফাকা,,
নীলার ক্লোজ বান্ধবী টা ও কেমন যেন মন মরা থাকে,,,,
সব কিছু ভুলে গিয়ে কবি নীলার বান্ধবীর সামনে গিয়ে দাড়ায়....

: আপু, একটু শুনবা....?
: বল, ভাইয়া...

: নীলা কলেজে আসে না কেন...?
: কেন বলো তো...!!!

: জানি না, কেমন যেন খুব আপন মনে হয়,
হয়তো ওকে খুব ভালোবাসি....
কখনো বলতে পারি নি,,,
ওর সেই মায়া ভরা চোখটা বার বার আমার
সামনে ভেসে ওঠে,,,,
কেদে ফেললো কবি....
বলো না আপু, শীতল কোথায়....??
: তোমার ভালোবাসা ও বুঝেও না বুঝে আজ অনেক
দূরে চলে গেছে,,,,,

শীতলের বান্ধবী টা কাদছে,,

: কি হইছে আপু,, বল না, প্লিজ.....
: ও ৪ দিন আগে ব্লাড ক্যান্সার এ মারা গেছে....

নির্বাক কবি যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলে,,
কথা বলার ভাসা খুজে পায় না,,,,,
ওকে না বলে নীলার চলে যাওয়া টা,
ওকে একা ফেলে রেখে যাওয়া টা কবি
মানতে পারে না......

কলেজ ভবনের পিছনে কবির প্রান শূন্য দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়,, কলেজের ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে কোনভাবে বলে ধারনা করা হয়,,
তবে এটা ককি আদৌ পড়ে যাওয়া না কি আত্মহত্যা এ এক অজানা রহস্যই থেকে যায়......

অনেক দিন হয়ে গেছে,,
কবি বা নীলার আর ছায়া নেই আজ,,
হয়তো ওরাই ছায়া হয়ে গেছে,,,
কলেজের পাশের লোকজনের থেকে শোনা যায় যে,,,

গভীর রাতে কান্নার শব্দ ভেসে আসে কলেজ থেকে,,,
কখনো কখনো গভীর রাতে নাকি কলেজের
গেইটে পাশে একটা ছেলেকে বসে দেখা যায়,,,,
কাঁদে একা একা........

আবার কখনো কখনো একটি ছেলে ও মেয়েকে কলেজের সেই বড় বটগাছের নিচে বসে থাকতে দেখা যায়,,
দুজন হাসে, পৃথিবীর সমস্ত সুখ সাথে নিয়ে,,


এ কান্না আর হাসির রহস্যটা হয়তো এখন আর কেউই জানে না........





লেখা:
#_পথ_হারা_পথিক_

কুয়াশার চাদর


কখনো কুয়াশার চাদর দেখেছো ?

ওর পরোতে পরোতে-
আমার ভালোবাসা জড়িয়ে ।।

ঘাসের জীবন বিন্দু, শিশির-
নিয়েছো পরশে কখনো ?

ওগুলো যে তোমারই বিরহে-
লুকিয়ে রাখা,
হাজার কষ্ট বিন্দু !!

চেয়ে দেখেছো কখনো ?
আমার দু চোখ পানে ?

জানি, দেখো নি ।

তোমায় নিয়ে লেখা কবিতা-
হারিয়ে আছে,
এ চোখেরই মাঝে !!

কেনো, জানো...??
তোমায় ভালোবাসি যে.....!!!



#_পথ_হারা_পথিক_

নীলার শেষ পরশ

রাত ৩ টার মতো....
এই সময় হিমু এসে ডাকাডাকি শুরু করলো,,

কবি..! এই কবি....!!
ওঠ, ওঠ না....!!
দেখ বৃষ্টি হচ্ছে....!!
তুই না বৃষ্টি ভালোবাসিস....!!

এই ওঠ....!

কবি : ধূর, কয়টা বাজে এখন...?
হিমু : তিনটা বাজে, তুই ওঠ না....!

: নাহ, তুই যা তো... কাল ভোরে আমার ক্লাস আছে,
ক্লাসে না গেলে স্যার কি বলবে জানিস না....?
: জানি, কিন্তু তোকে উঠতেই হবে,, তোর হাতে যে বেশী সময় নেই !!

: প্লিজ, যা না এখন....!! আজ সারা সন্ধ্যা তোর ওই
বইটা পড়লাম, কি যেন নাম....?
: ও হ্যা, সেই বইটা, "তোমাদের এই নগরে"

: হ্যা ওই বইটাই,,, তারপর ২ টা পর্যন্ত ফেইসবুক...!
একটা ঘন্টা ঘুমায়ে পারলাম না, আর তুই
আইসা ডাকাডাকি শুরু করছিস....? প্লিজ, একটু
ঘুমাইতে দে, সোনা ভাই আমার, লক্ষী ভাই আমার,,,,
: না, না, কোন কথায় কাজ হবে না,,, উঠতে তোকে হবেই,

: ভোরে না উঠতে পারলে আম্মু
কি বলবে জানা আছে তো তোর,, বলবে, গার্লফ্রেন্ডের
সাথে সারা রাত মোবাইলে কথা বলছিস....?
ছেলে না এইটুকু, এখনি প্রেম শুরু কইরা দিছে.....!! সকাল সকাল এমন কথা শুনতে কার ভালো লাগে বল তো.....!!
: জানি না, আমি কিচ্ছু জানি না,
আমি জানি উঠতে তোকে হবেই.....!! আর সেটা তোর ই জন্যে,,,
ওঠ, ওঠ না.....!!!!! দেখ না কি সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে....!

: না, উঠবো না....
: মানি না, মানবো না,,
আমি একা জেগে বৃষ্টি দেখব আর তুই ঘুমাবি...!
তা হবে না, তা হবে না....!!

: ঊফ....! থাম তো...! এত রাতে এই বিদ্রোহ শুধু আমার ঘুম ভাঙ্গাতেই কাজে লাগবে, এছাড়া আর কিছুতেই কাজে লাগবে না,,,,,

: জানি না, ঘুম থেকে তো তোর উঠতেই হবে.....
এই বলে হিমু ঘরের জানালা খুলে দিলো,,
এক পশলা বৃষ্টির জলের
কয়েকটা টুকরো এসে আছড়ে পড়লো কবি র গায়ে,,


না পেরে উঠে বসলো কবি,,
বরাবরের মত ঘুম ভাঙ্গিয়ে হিমু গায়েব,,
কেউ কখনো বিশ্বাস করে নি হিমুর এই ব্যাপার টা,
ও যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে তখন হিমু আসে,,
ওর সাথে কথা বলে,,
যা বলে তাই ই সত্যি হয়,,,,
প্রায় বছর খানিকটা ধরে হিমুর সাথে পরিচয়,,
আজ হিমু জানালা পর্যন্ত খুলে দিল......!!
কে বিশ্বাস করবে এমনটা......!!
নিজেকেই বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে....!!

অস্থির সুন্দর এক পরিবেশের মধ্যে আবিষ্কার করল
কবি নিজেকে । ঘরের লাইট বন্ধ,, হিমুর
খুলে রেখে যাওয়া জানালা থেকে রাস্তার সরকারি আলোর কিছুটা প্রবেশ করেছে,,
এক আলো ছায়ার খেলা চলছে যেন,,

দেয়ালের সাথে পিঠ ঠেকিয়ে বসলো কবি,,

চারিদিক অসম্ভব সুন্দর বরষার মায়াবী শব্দে আচ্ছন্ন,
কেমন যেন মায়া লেগে আছে রুমের মধ্যে...!!
মাঝে মাঝে বৃষ্টিছটা এসে পাগল করে দিচ্ছে,,,
হিমু ঠিক জানতো যে আমি এমনই....!!
প্রকৃতিতে হারিয়ে যেতে ভালোবাসি,,
প্রকৃতির প্রতিটা ভাজে যেন নীলার ছোঁয়া লেগে আছে,
আর বৃষ্টি টা যেন ওর রূপ.....!!


জানালার পাশে গিয়ে দাড়ালো কবি,,
দু হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির পরশ নিচ্ছে,,,,
বৃষ্টি হলে পাগলের মত হয়ে যায় কবি,,
একা একা বৃষ্টির মাঝে হারিয়ে যেতে চায়,,
কিন্তু কেউ না কেউ এসে বিরক্ত করবেই....!!
কিন্তু আজ যেন সৃষ্টিকর্তা ওকে ওর শেষ ইচ্ছে পূরণ
করার সুযোগ দিয়েছেন,,
আজ যেন প্রকৃতি ওকে চায়, একাকী ভাবে...!!
এই নিশ্চুপ রাতের মাঝে মায়াবী রূপের অবিরাম বর্ষন,,
হঠাৎ করে ওদের ধাপে ধাপে ভিজিয়ে আপন করে নেয়া,,
সরকারি আলো আর বিজলীর চমকে সৃষ্টি এক
আলো ছায়ার খেলা.....!!
এ সব যেন আজ ওর একার জন্যেই.....!!
সৃষ্টিকর্তা আজ তার অস্তিত্বের পুরোটা প্রমান
দিলেন...!!

বারবার কবি হারিয়ে যাচ্ছে নীলার মাঝে,,
কেমন যেন মাথাটা অকেজো হয়ে যেতে চাইছে,,
শীতলের সেই স্মৃতি গুলো নিজের অজান্তেই
হাতড়ে চলেছে.....
কতটা ভালোবাসে ও নীলাকে.....!!
জানে নাহ,,
বলা যায় না এভাবে....!!!

চেয়ার টা টেনে নিয়ে বসে,,
হাতে ডায়েরি টা নেয় কবি,,,,
দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকায়,,
সময়টা একবার দেখে নেবার জন্যে,
ঘড়িটা অন্ধকারে টিকটিকি করে চলেছে....!!

বালিশের নিচে হাত দিতেই ব্লেড আর মোবাইল
টা হাতে আসে কবি র....
অনেক দিন শেভ করা হয় না,,,
অনেকে তো রিতিমত দেবদাস বলে ডাকাডাকি শুরু
করে দিয়েছে,,
বালিশের নিচ থেকে ব্লেড আর মোবাইল দুটোই হাতে এল ওর,,
মোবাইলের লক বাটন চাপতেই নীলার অপলক
চাউনি টা ভেসে উঠলো,,
কয়েক টা মুহূর্ত যেন কোথায় হারিয়ে গেল...
বৃষ্টির ছটায় সম্ভিত ফিরে পেলো ও,,


সময়টা ৩ টা বেজে ৩৯ মিনিট,,
নাহ,, কিছু মাথায় ঢুকছে না,,,,,,,
নীলার স্মৃতি গুলো যেন টেনে ধরছে ওকে....!!

প্রায় চার চার টা বছর ধরে কেবল মনে মনে জল রঙ
দিয়ে নিখুঁত ভাবে শীতলের ছবি একে চলেছে কবি,,
কিছু মায়া, কিছু কান্না, কিছু ভালোবাসার রঙ মিশিয়ে,,
নীলাকে না পাওয়াটাই যেন ওর জীবন.....!!
কি এক অদ্ভুত কষ্ট,,
পাগলের মত হয়ে যায় মাঝে মাঝে,,
একা একা কথা বলে,,
হাসে,,
কাদে,,
এক অজানা রহস্যের মাঝে ডুবে থাকে,,,,,

ও জানে যে নীলা ওর জন্যে নয়,,
আর কারো জন্যেই নীলার সৃষ্টি,,
তবে ও এটাও জানে যে ওর সৃষ্টি শুধু
নীলাকে ভালোবাসার জন্যে......!!!
এক অব্যক্ত ভালোবাসাই যেন ওর আসল পরিচয়....!!!
স্মৃতিচারণ করতে করতে ক্লান্তির
দেশে হারিয়ে যাচ্ছে কবি,,
দু চোখ বেয়ে অশ্রুরেখার সৃষ্টি হয়ে চলেছে....!!

চোখের জলের বিশেষত্ব টা যেন আজ কঠোর
হয়ে ধরা দিচ্ছে,,,
বৃষ্টির জলের মাঝেও নীলার বিরহে আর রিক্তের
বেদনে পুড়ে গিয়ে অসহ্য যন্ত্রণার অশ্রুধারা যেন খুব
সহজে আলাদা করতে চাইলেই আলাদা করা যায় আবার হারিয়ে ফেলতে চাইলে মুহূর্তের মধ্যেই হারিয়ে ফেলা যায়.....!!!
সত্যিই কি এক রহস্য.....!!!

ডায়েরিতে নিজের অজান্তেই কয়েকটি লাইন
লিখে ফেললো কবি........


বাইরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে,
তোমায় নিয়ে কবিতা লিখতে-
ইচ্ছে করছে ।
কিন্তু_
কেন যেন পারছি না ।

তোমায় নিয়ে আর-
কবিতা লিখতে পারছি না ।

তুমি মিশে আছো-
সেই বৃষ্টির মাঝে,
কিন্তু তোমায় খুজে পাচ্ছি না ।

বৃষ্টিকনা গুলো আজ
তোমার কথা বলছে না ।

লজ্জাবতীর পাতাগুলো-
তোমার কথা মনে করে
আর লজ্জা পাচ্ছে না ।

সবুজ পাতাগুলো আগের মত
তোমায় নিয়ে ঈর্ষা করছে না ।

প্রতি পাতায় তোমার প্রতিচ্ছবি-
ফুটে উঠছে না ।

বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ-
তোমার কথা বলছে না ।

বৃষ্টিধারায় নেই আজ-
সেই হাসির ঝরনা,

হয়ে গেছে অশ্রুসিক্ত চোখের-
অজস্র জলের ধারা ।

বৃষ্টি মাঝে দু'একটা পাখি-
উড়ে তোমার জন্য গান করছে না ।

কেন, জানো ??
ওরা হয়তো বুঝে গেছে-

তুমি কোনদিনও আমায়
ভালোবাসনি,,
আর কোনদিনও
ভালোবাসবে না..…....
নাহ,,,,,,


আর পারা যাচ্ছে নাহ.....!!!!!
এক অদ্ভুত রকমের কষ্ট চেপে ধরছে আস্তে আস্তে,,
নিজের অজান্তে ব্লেডটা খুলে ডান হাতে ধরে রেখেছে,,
চেয়ারটাকে ঠেলে এক পাশে সরিয়ে দিয়ে জানালায় দাড়ায়
ও,,
নীলাকে অনুভব করতে চাইছে কবি,,
হঠাৎ গরম কিছু গড়িয়ে পড়ার অনুভূতি জাগে ওর হাতে,
কখন যে বাম হাতের শিরা গুলো ছিন্ন হয়ে যায় তা বুঝতেই পারে না কবি,,,,

আস্তে আস্তে দৃষ্টি শক্তিটাও যেন ক্ষীণ হয়ে আসছে,,
অনুভুতি গুলো কেমন যেন ভোতা হয়ে আসছে,,
না বলা কথার তীব্র এক আর্তনাদ হচ্ছে হৃদয় মাঝে,,,
রক্তাক্ত মেঝের উপর লুটিয়ে পড়ে কবি র নিস্তেজ
দেহটা,,,,,

রক্ত মাখা ডায়রী টা এক না বলা কথার কিছু কষ্ট
নিয়ে পড়ে আছে এক কোনায়.....

এই বৃষ্টিকণা গুলো যেন আজ শেষ বারের মতো নীলার পরশ নিয়ে কবির নিষ্পাপ দেহের উপর
আছড়ে পড়ছে একের পর এক..........





লেখা :
#_পথ_হারা_পথিক_

শুক্রবার, ডিসেম্বর ১২, ২০১৪

তুমি, আমি আর বৃষ্টি




বৃষ্টির মাঝে কেমন যেন একটা মায়া আছে,
নেশা ধরিয়ে দেবার মত মায়া,,

অনেক পাগল দেখেছি,
হ্যা,
বৃষ্টি পাগল,,

যখন বর্ষা শুরু হয়,
ভিজতেই হবে,,
যে কোন ভাবেই হোক না কেন....

এ যেন এক অসম্পূর্ণ ভালোবাসাকে পূর্ণতা দান করার এক অদৃশ্য টান,,
ছুটে যেতেই হবে যে কোন মূল্যে,,

"ওই যে !  ওই যে !
আমার প্রিয়তম/প্রিয়তমা আমায় ডাকছে,
কতদিন যে ওকে দেখনি !!
কতদিন ওকে একটু ছুঁয়ে দেয়া হয়নি !!
ওই যে দেখো,
ও কাঁদছে,
আমায় যেতে দাও,
আমাকে যে যেতেই হবে,,
আমাকে ছাড়া যে ওর খুব কষ্ট হচ্ছে....."

যাদের মন সুন্দর তারা বৃষ্টি ভালোবাসতে বাধ্য,
বাসতেই হবে,,

আমিও হয়তো বৃষ্টি ভালোবাসি,
কি এক টান সেই রিমঝিম শব্দের উপর,,
জানো,
ওর সাথে তোমার অজস্র মিল আছে,
আমি খুজে পাই,
মিল গুলো,

আমি বৃষ্টির প্রতিটা জলকনার মাঝে তোমারই প্রতিচ্ছবি খুজে পাই,
জানো...!
ওরা না আমার সাথে কথা বলে,
গল্প করে,
তোমার গল্প,,

তুমি নাকি আমাকে অনেক ভালোবাসো,
আমি তো জানি, বলো...!!
তোমার ভালোবাসা ছাড়া যে আমি অপূর্ণ,,

জানো,
তোমার চোখে যে মায়া,
বর্ষার মাঝে ভেজা প্রকৃতিতে আমি সেই মায়া খুজে পাই,,
যত দেখি ততই দেখতে ইচ্ছে করে,,

সুযোগ পেলে বৃষ্টিকনা গুলো গায়ে মাখি,
এ যে তোমার পরশ,,

বৃষ্টির সাথে আরো অনেক মিল তোমার,
তোমার মত বৃষ্টির মাঝেও সুখ আর দুঃখ একসাথে জড়ানো,,
একটাকে আরেকটার থেকে আলাদাই করতে পারলাম না আজ পর্যন্ত,,
তুমি যে আমার সব,
যেমন আমার সুখের কারণ,
তেমন আবার দুঃখের ও কারণ,,

যখন বৃষ্টি হয়,
তখন যে খুব বেশী করে তোমার কথা মনে পড়ে,,
তোমার থেকে বৃষ্টি যেন আলাদা করা যায় না,,
বৃষ্টিটা যেন তোমারই কোন এক অদৃশ্য অঙ্গ,,

তোমায় ভালোবাসি বলেই যে বৃষ্টি ভালোবাসি,,
তবে খুব ভয় হয়, জানো....?
এ যে ক্ষণস্থায়ী....!!
তবে তুমিও আমার থেকে হারিয়ে যাবে না তো....??

আমি যে তোমায় হারাতে পারবো না,
তোমায় হৃদমাঝারে রাখবো,
ছেড়ে দেবো না,,

জানো,
তোমায় নিয়ে বৃষ্টির মাঝে ভিজলে আমি পাগল হয়ে যাবো,,
কেন যেন মনে হয় যে,
এ দুটো আমার জীবনে কখনো একসাথে আসবে না,
কেনো....??
আমি যে পাগল,
তোমার পাগল,
আর পাগল প্রকৃতির এই ঝরে পড়া জলবিন্দুর....!

আমি মেঘলা আকাশের পাগল,
আমি পাগল এই স্নিগ্ধ সবুজ প্রকৃতির,,

আমি যে এগুলো তোমায় দেবো বলে যত্ন করে রেখে দিয়েছি,,
তুমি আসো,
আর নাই আসো,,
এগুলো আমারই থাকবে,,

যদি কখনো সময় পাও,
তবে আমার কাছে এসো,,

তোমায় নীল আকাশ দেবো না,
তোমায় দেবো মেঘলা আকাশ,,
যার থেকে মায়াবন বিহারিণীর সৃষ্টি হয়,,

"আমার সারাটা দিন,
মেঘলা আকাশ,
বৃষ্টি,
তোমাকে দিলাম...."

আমি জানি তুমি আসবে,
আসতেই হবে,
আমায় পূর্ণতা দান করতে,
তোমায় আসতেই হবে,,

যেদিন তুমি আমার হবে,
সেদিনের আকাশটা মেঘলা থাকবে,
বিকেলে ঝুম বৃষ্টি হবে,
খোলা আকাশের নিচে ওরা তোমায় আর আমায় মিলিয়ে দেবে এক পূর্ণ ভালোবাসার অন্তরালে..........



লেখা :
#_পথ_হারা_পথিক_

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৪

অপেক্ষা


বেশ খানিকটা সময় একাকী অপেক্ষা করার অনুভূতিটা অনেক সুন্দর হয়,
যখন অপেক্ষাকৃত মানুষটি জানে যে,
অপেক্ষার শেষেই তার মনের মানুষটি এসে হাজির হবে,
এক প্রশান্তির ছাঁয়া মিলবে,,

তবে সেই প্রিয় মানুষটা সাথে থাকা সত্ত্বেও অদ্ভুত বেদনার নীল ছাঁয়া গ্রাস করে ফেলে তাকে,
এক তীব্র রক্তক্ষরণের সৃষ্টি হয় তার হৃদয় গভীরে,
যখন তিনি জানতে পারেন যে,
আর কিছুটা সময় পরেই সব আগের মতো হয়ে যাবে,
তার নয়নের মণিটাও তার থেকে দূরে চলে যাবে,
এমনকি আবার কবে তাকে দেখতে পাবে তাও জানে না,,,

তবুও এই কষ্ট নিয়ে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসতেই হয়,,
কারন দূরে না গেলে যে কাছে আসার অনুভূতিটা, আনন্দটা বোঝা যাবে না,,
তারা যে দূরে যায় সেই আশায় যে,
আবার কোন না কোন একদিন তারা কাছের আশার অনুভূতি ছুঁয়ে দেখবে,
দেখবে প্রিয় মানুষটার জন্যে অপেক্ষা করার এক তীব্র আনন্দের মুহূর্ত.......

লেখা :
#_পথ_হারা_পথিক_

রাত্রি আর নীলা

চোখটা লাল হয়ে গেছে,,
রাস্তাটা যেন সূর্যদেবের সমস্ত উত্তাপ শুষে নিয়েছে,,
তার সমস্ত শক্তি দিয়ে সেই উত্তাপ ছেড়ে দিচ্ছে,,
এই রাস্তায় খালি পায়ে হাটার মজাই আলাদা,
নিজের কাছেই নিজের ধৈর্যের পরিচয় পাওয়া যায়,,
বাবা বলেছিলেন,
"তোমার ধৈর্যের পরিচয় তুমি নিজের নিকটেই দিও বৎস, তাহা আর কারো নিকট প্রমান করিবার কোন প্রয়োজন নাই....."
আকাশটা নীল হয়ে আছে,
কোথাও মেঘের ছিটেফোঁটা নেই....
আচ্ছা, আকাশটা এত নীল কেন ?
বেগুনী আলো বেশী প্রতিফলিত হয় বলে ! দূর থেকে দেখতে গাঢ় নীল মনে হয়.....
নাকি পৃথিবীর সকল মানুষের কষ্টের ছায়া গিয়ে পড়ে ওই আকাশটায়,
যখন মৃতপ্রায় চোখ নিয়ে মানুষ গুলো উদাস হয়ে ওই আকাশটার দিকে তাকিয়ে থাকে,,
হাটছি রাস্তার পাশের ফুটপাত থেকে,
হঠাৎ করে হাতে কারো স্পর্শ অনুভব করলাম,,
: এই হিমু.....!
পিছনে ফিরলাম,
রাত্রি আপু....!
আমার চরিত্রে অবাক হওয়া যায় না, তারপরেও কিছুটা অবাক হয়ে গেলাম.....
: কিরে...! চিনতে পেরেছিস...? ভুলে যাওয়াটা তো তোর ধর্ম ।
: কি যে বলিস আপু, চিনতে পারবো না কেন ? আর সবকিছু ভোলা গেলেও তোকে ভোলা যাবে না....
: চল,
: কোথায় ?
: কোথায় আবার ? আমার সাথে !
: হুম, চল ।
গাড়িতে গিয়ে বসলাম দুজনে,
লো ভলিউমে গান বাজছে,,
রবীন্দ্র সংগীত বাজছে,
" আজি ঝরো ঝরো বাদল মুখর দিনে......"
আচ্ছা, এই ভর দুপুরে এই গানটা কি মানাচ্ছে ?
ঠিক বোঝা যাচ্ছে না, হতেও পারে দূর ওই গগনতলে নীল বর্ষণ হচ্ছে, তাই আকাশটা এত নীল হয়ে আছে,
: হিমু, বাইরে কি দেখছিস উপরে ?
: হু,,
: হু না, আমার কথার উত্তরটা দে,
: কি কথা ?
: বাইরে কি দেখছিস ?
: নীলা কে,
: কই?  আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবি না !  ডাক দে তো,,
: তুই চিনলে আমি তোকে নতুন করে চেনাবো কিভাবে ?
: আচ্ছা, ডাক দে তো, দেখি !
আমি গাড়ি থেকে নেমে আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলতে শুরু করলাম,
"এই যে নীলা ! তোমাকে আপু ডাকছে,,
রাস্তার মানুষ গুলো কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে গেছে,
বিভ্রান্ত হয়ে যাওয়া মানুষ গুলোর চেহারার মধ্যে অন্য একটা অনুভূতি ফুটে ওঠে,
মানুষকে বিভ্রান্ত করার মজাই একটু অন্য,,
আপু হাত টান মেরে গাড়ির মধ্যে টেনে নিল,,
আপু হাসতে হাসতে গডিয়ে পড়ছে,
: তোর পাগলামিটা গেলো না,
: হু
হাসি মানুষকে ঈশ্বরীক রূপ দান করে,
রাত্রি বরাবরের মতই হাসি খুশি,
কিন্তু এখন আরো বেশী!
: হিমু !
: হুম, বল,
: আমি চলে যাবো,
: ও
: কোথায়, জানতে চাইলি না !
: কোথায় ?
: মৃত্যুর দেশে, আমি আর বেশীদিন বাচবো না রে,
রাত্রি হাসছে, ওর হাসির মধ্যে ভয়ংকর রূপ ফুটেছে,
গাড়ির চারপাশ কেমন যেন নির্জীব হয়ে গেছে,,
গাড়ি থামিয়ে নেমে হাটতে শুরু করলাম,
কেমন যেন অনুভূতি হচ্ছে !
মহাপুরুষদের কোন পিছুটান থাকতে নেই,,
তারপরও এমন কেন লাগছে ?
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম,
আকাশটা কেমন যেন আগের থেকে বেশি নীল হয়ে গেছে, দৃষ্টিটাও কেমন যেন ঝাপসা হয়ে আসছে.........



#_কিছু কিছু মানুষ অনেক দূরে থেকেও অনেক কাছের,,
আবার কিছু কিছু মানুষ অজানা হয়েও পরিচিত,,
তারা হারিয়ে যেতে চাইলে তাদের বুকের মাঝে লুকিয়ে রেখে দিতে ইচ্ছে করে,,


আমার এই ক্ষুদ্র সৃষ্টি টা এমনই এক মানুষকে উৎসর্গ করলাম,
আমার আপুকে,, ( Nijhum Afroj )

#_পথ_হারা_পথিক_

রবিবার, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৪

কষ্ট ছোঁয়া সুখ

আচ্ছা,,
কবি কবি ভাবটা কি চলে গেছে ?
নাকি ?
নাকি, লেখার সেই অনুভূতি হারিয়েছে ?

পুরোনো সেই কষ্টের অনুভূতি টা !
কাছে না পাওয়ার অনুভূতি !
পেয়েও হারাবার অনুভূতি !
কিছুই যে বুঝতে পারছি না !!

এই !!
কি বলছি ? শুনছো ??

ওই যে,
ওই অনুভূতিটা না আমার অনেক আপন ছিল,
ওতে যেন গভীর মায়ার পরশ ছিলো,,

আচ্ছা,
সুখ আর দুখ কী একই সুতোয় গাঁথা ?
কী করে হয় তা ?
জানি না গো,
কি যেন সব তালগোল করছি !
সুখ আর দুখ একই সাথে-
দুয়ের মালা পেতে চাইছি !!

এ কি হয় কখনো..??

তুমি যে সুখ !
আমার হৃদয় মাঝের সুখ ।
ভালোবাসার সুখ !
তুমি যে আমার ক্লান্তিহীন সুখ ।

জানো ?
কষ্টের মাঝেও এক সুখ আছে,
এই, এই ! পাগল ভাবছো কেন ?
আমার কথা বিশ্বাস হয় না !
অবশ্য না হওয়ারই কথা।

কষ্টের মাঝে সুখ !
হ্যা, তাই ই তো ।
জানি না গো,
হয়তো সবার কাছে ধরা দেয় না,
আবার হবে হয়তো-
সবাই খুঁজে নিতে জানে না ।

তবে আমার যে এমনি মনে হয়,
আমি না কেমন যেন বুঝতে পারি !
আমি যে জানি,
কষ্ট ছোঁয়া সেই সুখের অনুভূতি ।

আমি যে জানি,
তুমি চলে যাবে একদিন,
তোমায় ঘেরা আমার সব সুখ গুলো নিয়ে ।
রয়ে যাবে সুখের পরশ কষ্টরূপী হয়ে ।

তুমি কষ্ট পেও না গো,
দেখো,
আমি ঠিক ভালো রবো-
তোমায় ভালোবেসে,
কষ্ট ছোঁয়া সুখের মাঝে-
তোমায় খুঁজে নিয়ে ।।


#_পথ_হারা_পথিক_


শনিবার, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৪

হিমুর সন্ধ্যাপরী

অনেক দিন পর আজ হঠাৎ করেই এক অসহন মাথা যন্ত্রণা নিয়েই ঘুম ভেঙে গেলো,,
ভাঙা জানালার ফাক থেকে আকাশ টা দেখা যাচ্ছে,,
মেঘলা আকাশ,,
ঠিক রূপা মুখ ভার করে থাকলে যেমন লাগে,,
এ কি....?
আমি ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই রূপার কথা ভাবতে শুরু করে দিয়েছি !
নাহ, এখন ওর কথা ভাবলে চলবে না,
কাজেই রূপার সুইচটা ব্রেইন থেকে একচাপ দিয়ে অফ করে দিলাম ।
মাথা ব্যথাটা নিয়ে একটু ভাবি, দেখা যাক কি হয়।
আচ্ছা, হিরোসীমা-নাগাসাকি তে যে বোমা পরেছিলো হয়তো যেই মাপের বিশাল গর্জন মাথার মধ্যে, তবুও কেন বিরক্তিকর ভাবটা আসছে না...!!
আকাশের মেঘ মাখা মুখবদন টা দেখে...?
আচ্ছা, এটা দেখে তো আনন্দিত হবার কিছু আছে বলে মনে হয় না,
কারন আজ আকাশের মন খারাপ,,
হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই কান্না শুরু করে দিবে,
ঠিক যেমন কোন হত দরিদ্র বাবা টাকার অভাবে তার ছেলেকে খেলনা কিনে দিতে না পারলে ছেলেটি যেভাবে কাঁদবে।
নাকি বিরক্তিকর ভাবটা বাবার জন্যেই আসছে না,
বাবার সেই মহাপুরুষ তৈরীর চেষ্টা !
বাবার সেই লিখে রেখে যাওয়া বাণী....
" হে বৎস, তুমি মনে রাখিও যে তুমিই সেই একমাত্র মহাপুরুষ,  যে পৃথিবীতে জন্মানোর পরেই ধীরে ধীরে মহাপুরুষ হতে শিখেছে,
আরও মনে রাখিও যে মহাপুরুষদেরকে বিরক্তি নামক বস্তুটা আঘাত হানতে অক্ষম হইয়া থাকে, তাহারা হইয়া থাকেন অটুট ধৈর্যের হিমালয়,,
আর হ্যা, তুমি তাহাদেরই একজন........"
আজ দুপুরে ইলিশ ভাজা খাওয়া হবে বলে মনে হচ্ছে,
তাই দেরী না করে বাথরুমের দিকে রওয়ানা হলাম।  কপাল আমার সাথেই আছে, কোথাও খুলে ফেলে আসি নি।  কারন বাথরুমটা ফ্যালফ্যাল করে যেন আমার জন্যেই অপেক্ষা করছিলো।
রুমে এসে বালিশের নিচে হাতদিয়ে দশটাকা পাবার কিঞ্চিৎ আশা করছিলাম, মজিদ ভাইয়ের দোকানে সকালের চা খেয়ে নাস্তা টা সারবো বলে,,
হিমু ভাই, হিমু ভাই,,
মেসের ম্যানেজার জামিল ভাই এসেছেন, সঙ্গে করে তার দরজায় টোকা মারার অসাধারন প্রতিভাটাও ফুটিয়ে তুলছেন,,
কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না,
ইস, জামিল ভাইকে যদি তার বাবা মহা পুরুষ বানানোর প্রশিক্ষণ দিতেন তাহলে হয়তো আমাকে দরজা পর্যন্ত গিয়ে দরজা কহউললে কথা বলতে হতো না,,
পৃথিবীতে তো কত কিছুই নতুন নতুন বস্তু জন্ম নিচ্ছে,
তেমন ভাবে মনে মনে কথা বলার কিছু আবিষ্কার হলো না কেন?
আচ্ছা, এটা আবিষ্কার হলে কি খুব খারাপ কিছু ঘটতো?  যেমন সন্ত্রাসীরা গোপনে তাদের সব কাজকর্ম চালিয়ে নিতো ।
আরে, ভালো জিনিস গুলো তো কম হত না,
বাচ্চারা ক্লাসের মধ্যেই তাদের খেলা পেতে দিতো !
ক্লাসের ছেলে গুলো স্কুল পালানোর প্লান করতে পারতো !
প্রেমিক প্রেমিকারা কাউকে না জানিয়েই তাদের প্রেম আলাপ সারতে পারতো !
হিমু ভাই, ও হিমু ভাই,,
এগিয়ে গেলাম দরজার দিকে, মোটামুটি রকমের পরিপাটি হয়ে আছি, তবে ছোট বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠানোর আগে যেভাবে রেডি করে দেয়া হয় তার একশ হাতের মধ্যেও পৌছব না,,
দরজা খুলতেই জামিল ভাই প্রাণ খুলে হাসি দিলেন, অত্যধিক ভালো মানুষ, বাবা বলেছিলেন হাসি দেখে মানুষ চেনার কথা,
একে বারেই সহজ সরল এই মানুষটি ।
: একটু জোরে হাসুনতো ভাই।
: কেন ভাই !
: দেখবো আর শুনবো,
: ভাই, রসিকতা বন্ধ করেন তো !
: আচ্ছা করলাম ।
: হিমু ভাই, কথা আছে,
: বলেন জামিল ভাই,
: আজ দিনটাতে মেসের সবাই একটু আনন্দ করতে চাচ্ছে, তাই আজকের দিনটাতে একটু স্পেশাল খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, খিচুরি আর ইলিশ মাছ ভাজা, এমন আবহাওয়ায় দারুন জমবে ।
: হ্যা, জমবে অবশ্যই,
: ভাই, আপনার ভাগের টাকাটা কিন্তু আমি দিবো, না করবেন না ভাই,,
: আচ্ছা জামিল ভাই, ঠিক আছে, আজ দুপুরে আমার সঙ্গে আমার এক গেস্ট খাবেন, ওনার ব্যবস্থা টা ও করবেন কিন্তু ভাই ।
: আচ্ছা ভাই, চিন্তা কইরেন না, আমি সব ম্যানেজ কইরা নিবো, আসি ভাই।
: আচ্ছা ।
জামিল ভাই হেটে চলে যাচ্ছেন । আমি জানি যে উনি আবার ফিরে আসবেন ।  কারন উনি প্রতিবারই কিছু না কিছু বলতে ভুলে যান ।  তাই দরজা খোলাই রেখে দিয়েছি ।
: হিমু ভাই,
: আসেন জামিল ভাই, বলেন, কি বলতে ভুলে গিয়েছিলেন ?
: ভাই আর লজ্জা দিয়েন না তো । বয়স হইছে তো কিছু মনে থাকে না।
: আচ্ছা ভাই দিবো না ।
: ভাই, আপনারে আমার শালীর কথা বলছিলাম না?  মনে আছে ?
: হুম ।
: আমি জানি আপনার মনে নাই।
: হুম।
: মনে থাকতে হবে না, আপনারে একদিন আমি নিয়া যাবো ওদের বাসায়, ওর হাতটা একটু দেইখা দিবেন ভাই,
: আচ্ছা, দিবো.......
রাস্তায় বের হয়ে এসেছি,
রাস্তা গুলো কেমন যেন নীরব আগের ব্যস্ততার থেকে !
আকাশে মেঘ জমে আছে, তাই রাস্তাটা নিজেকে রাগি প্রমান করার জন্য উত্তপ্ত হতে পারছে না ।
টাকা নেই বলে সকালের নাস্তা টা খাওয়া হলো না, মজিদ ভাই অবশ্য ভালো লোক, আমি গেলে না খেয়ে ফিরতে হতো না,,
আসলে এখন আর যাওয়ারই ইচ্ছে নেই,,
মহা পুরুষ তো,, তাই এই অবস্থা......
বাবা তার চিরকুটে বলেছিলে যে মহাপুরুষদের জিবন কোন বাধা ধরা নিয়মে চলে না, তাদের যখন যা ইচ্ছা তাইই করতে পারেন ।
এখন আমার একমাত্র ইচ্ছা হলো রাস্তায় খালিপায়ে অনেকক্ষন হেটে হেটে ঘুরে বেড়ানো।
পিছন থেকে আমি হঠাৎ করেই শুনতে পেলাম,
হিমু দা......!!
বাদলের কন্ঠ, আবাক হবার কিছুই নেই, ও দিনের সিংগ সে আমাকেই খুজে বেড়ায়,,
আমার ভক্তদের শীর্ষস্থানে বাদলের স্থান ।
: বল কি বলবি,, আমার হাতে আজ সময় কম,,
: কোথায় যাচ্ছো ?
: হাটবো সারাদিন,
: আমিও যাবো চল,
হাটতে হাটতে দিয়ে ধানমন্ডি লেক এ পৌছলাম,
অসংখ্য তরুণ-তরুণীদের দল হাত ধরাধরি করে বসে আছে, একে অপরকে মুগ্ধ হয়ে দেখছে, তাদের চোখেই মনে হচ্ছে পৃথিবীটা ঘুরছে, আর তারা ভদ্র ছাত্র-ছাত্রীর মত সেই ভূগোল পাঠ হা করে গিলছে.....
সেই পরিচিত জায়গায় এসে থামলাম,,
বসে পড়লাম,, গুরুকে অনুসরণ করে বাদলও ঠিক তাই করলো,, আমার ভঙ্গিতেই বসলো......
: বাদল ।
: হ্যা হিমু দা ।
: তোর পকেটে ৯৮ টাকা আছে, সেই টাকা বের করে চা নিয়ে আয় ।
: আচ্ছা হিমু দা ।
হিমুর কোন কর্মকান্ডে বাদল বিভ্রান্ত হয় না,
কারন হিমু তার গুরুর থেকেও বেশী কিছু,
যে সব কাজকর অন্য মানুষের কাছে প্রচন্ড অস্বাভাবিক মনে হয়, বাদলের কাছে তা সামান্যই.......
কারন বাদল হিমুর একন্তই আনুগত্য ভক্ত,,
যাকে হিমু কেটে ধানমন্ডির লেকে ভাসিয়ে দিলেও একটা শব্দ মুখ থেকে বের করবে না......
চা খেতে খেতে আমি বাদলকে বললাম,
: বাদল, তুই এখন বাসয় চলে যা, আমি একজনের জন্য অপেক্ষা করবো ।
: কার জন্যে হিমু দা ?
: নীলার জন্যে ।
: বলবে, সে কে ?
: জানি না সে কে, তবে জানি যে সন্ধ্যার আগে গোধূলির মুহূর্তে ও আসবে,, একটা নীল শাড়ি পড়ে, তার সাজগোজে কিছুটা এলোমেলো ভাব থাকলেও তাকে দেখতে লাগবে সন্ধ্যা পরীর মতো, মেসে বলে এসেছি, তাকে নিয়ে গিয়েই ডিনারটা শেষ করতে হবে........


অসমাপ্ত গল্প ।।।।।

লেখা :
#_পথ_হারা_পথিক_